রোলস রয়েস কেন এত ব্যয়বহুল

Uncategorized লাইফস্টাইল

রোলস-রয়েস মূলত লাক্সারি গাড়ির একটি বেঞ্চ মার্ক হিসেবে পরিচিত। রোলস রয়েস ব্রান্ডটির গাড়ি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। রোলস-রয়েস ব্রান্ডটি ১০০ বছরের পুরোনো হলেও এখনও তারা তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ২০২০ এ তাদের সর্বনিন্ম মডেলেরে গাড়িটির মূল্য আছে দুই কোটি টাকারও বেশি।

 

১৯০৪ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে চার্চ রোজ এবং হেনরি রয়েস নামের দুই ব্যক্তির হাত ধরে যাত্রা শুরু করে রোলস-রয়েস। তাদের মধ্যে চার্চ রোজ একজন পার্টটাইম রেসিং ড্রাইভার এবং কার ডিলার ছিলেন অপরদিকে হেনরি রয়েস একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন যিনি গাড়ি এবং উড়জাহাজ ডিজাইনের জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। তারা দুইজন সম্মিলিতভাবে একটি মোটর কার কোম্পানি খোলার পরিকল্পনা করে একটি বিজনেস এ্যগ্রিমেন্ট করেন।

প্রথম রোলস-রয়েস গাড়িটি ১৯০৪ সালের ডিসেম্বরে মার্কেটে আসে যার নাম ছিলো রোলস-রয়েস ১০এইচপি (Rolls-Royce 10hp)।

গাড়িটির সর্বচ্চ গতি ছিলো ৬৩ কিলোমিটার/ঘন্টা এবং গাড়িটির মুল্য ছিলো ৩৯৫Euro । ১৯০৬ সালে চার্চ রোজ এবং হেনরি রয়েসের নাম অনুসারে কোম্বানির নাম রোলস-রয়েস লিমিটেড (Rolls-Royce Limited) করা হয়। ১৯০৭ সালে রোলস-রয়েসের সিলভার গোস্ট গাড়িটিকে “বেস্ট কার ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড” হিসোবে ঘোষণা করা হয়।

১৯২০ এর দশকে Aviation Engineering এ অবদান রাখে রোলস-রয়েস। ১৯৩১ সালে রোলস-রয়েস স্পোর্টস কার মেকার কোম্পানি বেন্টলি(Bentley) কে কিনে নেয়। ১৯৩৬ সালে রোলস-রয়েস ফেন্টোম ৩(Phantom 3) গাড়িটি বাজারে নিয়ে আসে যাতে প্রথম বাড়ের মতো V12 ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হয়।

পরের কিছু দশকে রেড, সিলভার ক্লাউড, ফেন্টোম ৫ এবং সিলভার শেডোর মতো বেশ কিছু লাক্সারি কার নিয়ে আসে রোলস-রয়েস।

১৯৮০ সালে ব্রিটিস ডিফেন্স কোম্পানি ভিকারস(Vickers) ৯৩৩ মিলিয়ন ডলারে রোলস-রয়েসকে কিনে নেয়। ১৯৮৮ সালে ভিকারস(Vickers) রোলস-রয়েসকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। জার্মান অটো মেকার কোম্পানি ভোক্স ওয়াগোন(Volks Wagen) ৪৩০মিলিয়ন ইউরো দিয়ে রোলস-রয়েসকে কিনে নেয়। ২০১৯ সালে রোলস-রয়েস মোট ৫১৫২টি গাড়ি বিক্রি করেছিল এবং তাদের রেভিনিউ ছিলো ২১.১৮ বিলিয়ন ডলার। এখন প্রযন্ত রোলস-রয়েস গাড়িটি হচ্ছে রোলস-রয়েস সোয়েপটেইল যার দমি ছিলো ১৩ মিলিয়ন ডলার।

রোলস-রয়েসের দামের প্রধান একটি কারণ হচ্ছে এর ব্রান্ড ভ্যালূ। রোলস-রয়েসের প্রত্যেকটি মডেলের লিমিটেড প্রোডাকশন হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে তারা মোট ৪৩৫৩ টি গাড়ি তৈরি করেছিলো। রোলস-রয়েসের কাছে ৪৪ হাজার কালার রয়েছে। রোলস-রয়েস গাড়িগুলোর দামের পেছনে আরও একটি কারণ তাদের ইউনিক ডিজাইন। রোলস-রয়েসের গাড়িতে বেশকিছু অ্যাডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন