সূর্যের মত আরো একটি নক্ষত্রের খোঁজ পেল নাসা। সূর্যের মত আরও একটি নক্ষত্রের খোঁজ হলো। অজানা রহস্যের সন্ধান পেতে মুখিয়ে আছে বিজ্ঞানীরা। সূর্য আজও আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে শুধুমাত্র একটি বিস্ময়বস্তু নয়। এটা একটি বিস্ময়ের খনি বলা চলে। এখনো অজানা রয়ে গেছে এই সূর্যের তরুণ বয়সের অনেক কিছুই।
যে সময় সদ্য প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই পৃথিবীতে সেই সময়কার সূর্যের তথ্যকে অতীত খুঁড়ে বের করে আনতে মুখিয়ে আছেন অ্যাস্ট্রোনমাররা। আর এতদিন পর মিলল সেই সুযোগ। সন্ধান মিলেছে সূর্যের মত আরো একটি নক্ষত্রের। যদিও বয়সের ওই নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে নবীন। ফলে সেটাকে অধ্যায়ন করলে অনেক রহস্যের সন্ধান হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্য থেকে 30 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত নবীন এই নক্ষত্রটির নাম রাখা হয়েছে “Kappa1 Ceti”। আমাদের ছায়াপথের যত নক্ষত্র রয়েছে তাদের দশভাগের এক ভাগই আমাদের সূর্যের মতো। আর তাদের মধ্যে বহু নক্ষত্রের বয়স আমাদের সূর্যের থেকেও অনেকটাই কম। নাসার সদ্য আবিষ্কৃত এই নক্ষত্রটিও তেমনি একটি নক্ষত্র। অ্যাস্ট্রোনমাররা জানিয়েছেন সূর্য থেকে দূরত্বের হিসেবে এই নক্ষত্রটি কার্যত মহাজাগতিক দূরত্বে একেবারে ঘরের কোনাতেই আছে আর এই নিকটে থাকা প্রতিবেশীকে ঘিরেই বিজ্ঞানীরা আশায় বুক বাঁধছেন।
নবীন এই নক্ষত্রের বয়স 60 কোটি থেকে 75 কোটি বছরের মধ্যে হবে বলে ধারণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের ঠিক এমন বয়সে আমাদের এই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। এই নবীন নক্ষত্রের ভর ও কেন্দ্রের তাপমাত্রাও সূর্যের মতোই। এই সূর্যের জমজকে অধ্যায়ন করতে শুরু করে দিয়েছেন অ্যাস্ট্রোনমাররা। অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে এই নক্ষত্রের বায়ুমণ্ডল থেকে শুরু করে তার পরিবারের সদস্য গ্রহগুলোর চরিত্র ইত্যাদি খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। আমাদের সূর্য এখন মাঝ বয়সী একটি নক্ষত্র। গবেষকদের অনুমান তরুণ বয়সে আমাদের সূর্যের ঘূর্ণায়ন ক্ষমতা ছিল প্রায় তিনগুণ বেশি আর তার চুম্বক শক্তি ছিল আরো অধিক শক্তিশালী সেইসঙ্গে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। নতুন এই নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে সেই বিষয়টি আরও বেশি নিশ্চিত হতে চায়ছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে এমন কোন গ্রহের সন্ধান মিললে সূর্য ও পৃথিবীর অতিতের সম্পর্কে বুঝতে বিজ্ঞানীদের আরও অধিক সাহায্য হবে। “Kappa1 Ceti” একটি হলুদ বামুন নক্ষত্র। এই নক্ষত্রটির ভর মোটামুটি আমাদের সূর্যের ভরের সামনই। এই নক্ষত্রটির ঘূর্ণায়ন হার প্রায় প্রতি নয় দিনে একবার।