বর্তমান করোনাকালীন সময়ে বেশিরভাগ করোনা রোগীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছে। তাই করোনার সময় অক্সিজেন লেভেলটা ঠিক আছে কি না তা জানা অত্যান্ত জরুরী। সঠিক সময় আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার অক্সিজেনের পরিমাণ কম, তাহলে, আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে হয়তো সময় মতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই শ্বাস কষ্ট হলে অক্সিজেনের পরিমাপটা জানা দরকার।
তাহলে সবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, আপনি কিভাবে আপনার অক্সিজেন লেভেলটা পরিমাপ করবেন? আজ আমরা জানাব কিভাবে অক্সিজেন লেভেল পরিমাপ করা যায়?
পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের অক্সিজেনের পরিমাপটা জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান বাজারে অক্সিজেন পরিমাপের জন্য দাম ও কোম্পানিভেদে বিভিন্ন ধরনের পালস অক্সিমিটার পাওয়া যায়। সাধারণত 600 থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে আপনি অক্সিমিটার পেয়ে যাবেন। বর্তমানে করোনা কালীন অবস্থায় রোগীর করোনা শনাক্ত হলে, প্রাথমিক অবস্থায় সব ডাক্তারেরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে অক্সিমিটার ব্যবহারের মাধ্যমে রোগী বাসায় থেকে তার অক্সিজেনের লেভেলটা পরিমাপ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অক্সিজেন পরিমাপ করে যদি দেখেন অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে, তবে রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে এবং সম্ভব হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অর্থাৎ পালস অক্সিমিটা্রের কাজ হল রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ও স্পন্দনের গতি নির্ণয় করা।
অক্সিমিটারের পরিমাপ অনুযায়ী রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যদি ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ এর মধ্যে থাকে, তবে বুঝবেন অক্সিজেন লেভেল ঠিক আছে। আর সেই মাত্রা যদি ৯২ এর নিচে নেমে যায়, তবে তা অস্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তাকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই অক্সিমিটার ব্যবহারের ফলে অনেক করোনা রোগী সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। শুধু করণা রোগী নয় হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি শ্বাসজনিত রোগে যারা ভুগছেন, তাদের জন্যও অক্সিমিটার অনেক প্রয়োজন। তবে বর্তমানে বেশির ভাগই করোনা রোগীদের মাঝে এই যন্ত্রটির ব্যবহার বেশি লক্ষনীয়। বর্তমানে বাংলাদেশে আবার করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। তাই সকলেই সচেতন থাকাটা জরুরী। অনেকেই হয়তো অক্সিমিটার সম্পর্কে জানেই না, আশা করছি এই পোস্টটা তাদের কাজে লাগবে। ভালো লাগলে লাইক আর কিছু জানা বা বলার থাকলে কমেন্ট করবেন।