বাংলাদেশে পাওয়া গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু। এই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরুটি ঢাকার আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় শিকর অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি খামারে লালন-পালন করা হচ্ছে। এই গরুটির বর্তমান মালিকের নাম তানভীর হাসান এবং তিনিই খামারটির মালিক।
এই গরুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির এবং গায়ের রং সাদা। গরুটির মালিক তানভীর হাসান আদর করে গরুটির নাম রেখেছেন “রানি”। প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে গরুটির ছবি দেখেন তানভীর হাসান। তারপর শখ করে নওগাঁর এক কৃষকের খামার থেকে এই গরুটি কিনে আনেন। এই গরুটি ভূটানের বক্সার ভুট্টি জাতের একটি গরু। এই গরুটির উচ্চতা মাত্র ২০ ইঞ্চি এবং ওজন মাত্র ২৬ কেজি। এই উচ্চতার কারণেই গরুটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছে। এই বিশ্বের সব চেয়ে ছোট গরু “রানিকে” দেখার জন্য প্রতিদিনই উৎসুক জনতার ভিড় হচ্ছে। তানভীর হাসানের গরুর খামারে আরও ১১ টি ভূটানের বক্সার ভূট্টি জাতের গরু রয়েছে। কিন্তু “রানিই” গরুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ইতিমধ্যে গরুটিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুটি রয়েছে ভারতের কেরালা রাজ্যে। ৪ বছর বয়সী লাল রঙের ওই গরুটির উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি এবং ওজন ৪০ কেজি। এই গুরুটির মালিক তার নাম দিয়েছেন মানিক্যাম। এই গরুটির মালিকের নাম অক্ষয় এনবি।
মানিক্যামের থেকে রানীর উচ্চতা ৪ ইঞ্চি কম এবং ওজন ১৪ কেজি কম। সাভারের প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী চিকিৎসক মো. আতিকুজ্জামান রাণীর স্বাস্থ পরীক্ষা করে জানান যে, এই গরুটির আর বাড়ার সম্বাবনা নেই। তাই এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে এই গরুটি (রানী) গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিবে।
আকারে ছোট হওয়ায় রানীর খাবারের ধরণও সাধারণ গরুর থেকে অনেকটা আলাদা। রানিকে যিনি দেখভাল করেন, তিনি জানান, ডাক্টারের পরামর্শ অনুযায়ী সকাল বেলা ১০০ গ্রাম এবং বিকেলে ১০০ গ্রাম খাবার দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমে এই গরুর ব্যাপারে প্রচার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শৌখিন লোকজন গরুটি কেনার জন্য খামার মালিক তানভীর হাসানের সাথে যোগাযোগ করছেন। খামার মালিক বলেন, এক ক্রেতা রানীকে ক্রয় করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম বলে কিন্তু তানভীর হাসান গরুটিকে বিক্রয় করতে চান না।