বর্তমান ফুটবল জগতের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে লিওনেল মেসি এমন একটি নাম যাকে ফুটবল বিশ্ব বিস্ময়কর কিংবদন্তি ফুটবলার হিসেবে মানে। মেসির জন্ম ২৪ জুন ১৯৮৭ আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে হয়েছিল। এই মহান ফুটবলারের জন্য বার্সেলোনা এফ সি ক্লাবের বিশ্বব্যাপী আলাদা একটি সুনাম ও সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবল ভক্তদের পাশাপাশি লিওনেল মেসি সেই সব ফুটবলারদের ও রোলমডেল যারা ফুটবলেক তাদের জীবনের ও সাফল্যের অংশ হিসেবে নিয়েছে এবং বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।১৯৯৫ সালে মেসি তার শহরের একটি ক্লাব Newell’s Old Boys এর হয়ে ফুটবল খেলতে থাকে মাত্র ৯ বছর বয়সেই মেসি প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে ফুটবলকে এতটাই আয়ত্ত করেছিলেন যে তার পায়ে বল আসলে প্রতিপক্ষ হয়রান হয়েগেলেও দশ মিনিটের অধিক সময় বল মেসির পায়েই থাকত।
তো চলুন এবার নেইমারের বেপারে কিছু জেনে আছি। নেইমার দা সিল্ভা স্যান্তোস জুনিয়র জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২। সাধারণত নেইমার নামে পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনা এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তিনি আধুনিক বিশ্বের উদীয়্রমান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম।
নেইমার ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে নেইমার ফিফা ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনয়ন পান, তবে ১০ম স্থানে আসেন। তিনি ফিফা পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য।
ফুটবল সিজেন আসলেই মেসি এবং নেইমার ভক্তদের মাঝে দেখা যাই চরম উত্তেজনা। অনেক অনেক সময় তো দেখা যায় এই উত্তেজনার কারণে মেসি ও নেইমার ভক্তদের মাঝে কে সেরা তা নিয়ে মারামারির সৃষ্টি হয়। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক মেসি নেইমারদের জীবনের সাফল্যের কিছু পরিসংখ্যান।
গোল+এসিস্ট:
লিওনেল মেসি: ১১০০+(ফুটবল ইতিহাসে সর্বচ্চ)
নেইমার : ৫৯৪+
ব্যক্তিগত অর্জন:
লিওনেল মেসি: ৬টি ব্যালন ডি অর, ৬টি গোল্ডেন বুট, ৪টি বেস্ট প্লে মেকার এ্যাওয়ার্ড, ১টি বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল, ১টি কোপা আমেরিকা গোল্ডেন বল, ২টি উয়েফা বেস্ট প্লেয়ার এ্যাওয়ার্ড, ১৯ বার টুর্নামেন্ট টপ স্কোরার।
নেইমার : ০টি ব্যালন ডি অর, ০টি গোল্ডেন বুট, ০টি বেস্ট প্লে মেকার এ্যাওয়ার্ড, ০টি বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল, ০টি কোপা আমেরিকা গোল্ডেন বল, ০টি উয়েফা বেস্ট প্লেয়ার এ্যাওয়ার্ড, ৩বার টুর্নামেন্ট টপ স্কোরার।