বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রফেসর ৮ বছর বয়সী সুবর্ণ আইজ্যাক বারী

Uncategorized

বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রফেসর, ৮ বছর বয়সী সুবর্ণ আইজ্যাক বারী নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের কাছ থেকে পেলেন রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান।

 

বিশ্বের বিশ্ময় বালক বাংলাদেশি বংশদ্ভূত সুবর্ণ। পুরো নাম সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। সুবর্ণের জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের একটি বাঙালি পরিবারে। তার পিতা-মাতা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী দম্পতি রাশেদুল বারী এবং সাহেদা বারী। আর ৮ বছর বয়সেই এই ছোট বিজ্ঞানী সুবর্ণ বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ এন্ড্রো কুওমো নিউইয়র্ক এর গভর্নর এর পক্ষ থেকে সুবর্ণ আইজ্যাক বারী কে এই স্বীকৃতি পত্র প্রদান করেন। এন্ড্রো কুওমো তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সুবর্ণের বাড়িতে স্বীকৃতি পত্রটি পৌঁছে দেন এবং সুবর্ণকে গভর্নর এর সাথে দেখা করার আমন্ত্রণ জানান।

সুবর্ণকে সম্মাননা জানিয়ে এন্ড্রো কুওমো এরকম বলেন যে “সুবর্ণ এমন একজন ব্যক্তি, যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন”। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান এর মাধ্যমে সন্ত্রাস বিরোধী ক্যাম্পিং বইয়ের মাধ্যমে আপনি বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্বশান্তি প্রচার এর জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা তা আমাকে মুগ্ধ করে। খুব অল্প বয়সেই পিএইচডি পর্যায়ের গণিত পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন এর পারদর্শিতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশী বালক সুবর্ণ।

তাই মাত্র ৬ বছর বয়সেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানী উপাধি লাভ করেন। সুবর্ণ দিল্লিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী থেকে গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। রুহিয়া কলজ অব মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় খুদে পদার্থবিজ্ঞানি সুবর্ণকে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। শুধু তাই নয় ইংরেজি অ্যালজেবরা রসায়ন পদার্থবিজ্ঞানে সমান পারদর্শী এই বিস্ময়বালক আমাদের সময়ের আইনস্টাইন হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির কলেজের প্রেসিডেন্ট ডক্টর লিসা কইকো সুবর্ণকে আমাদের সময়ের আইনস্টাইন উপাধি দেন। শুধু গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানেই নয় সুবর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনেও নিজের অবদান রেখেছেন।

সারে ৮ বছরের এই বিজ্ঞানী The Love নামের একটি গ্রন্থ রচনা করেও বিশ্ববাসীর কাছে নিজের এবং বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে দিয়েছে। The Love গ্রন্থে সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা সৃষ্টির লক্ষে সুবর্ণ যে অগ্রগতি প্রদর্শন করেছে তা খুবই প্রশংসনীয় তার জন্য স্বীকৃতিপত্রে নিউইয়র্ক গভর্নর সুবর্ণকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন