বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

তথ্য ও প্রযুক্তি

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আকার আকৃতির বিমান দেখে থাকি। যখন কোন বিশাল আকৃতির বিমানের কথা শুনি তখন অবাক হয়ে যায়। আমাদের পৃথিবীতে এমন অনেক বিমান আছে যার আকার ও ওজন সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

 

স্ট্রটোলাঞ্চঃ

এই বিমানটি দেখলে মনে হবে দুটি বিমান একসাথে করা হয়েছে। এই বিমানটি অনেক স্কিলস সমৃদ্ধ। এটার দুপাশে যে দুটি বিমানের মতো দেখা যায়, তাকে বলা হয় ফিউজলেস। প্রত্যেকটা ফিউজলেস ৭৩ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এই বিমানটি্তে ২৮ টি হুইল রয়েছে। ডানপাশের ফিউজলেসে পাইলট কো-পাইলট সবাই মিলে বিমান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং বাম পাশের ফিউজলেসে কোন পাইলট থাকে না। বিমানটি লম্বায় ১১৭ মিটার এবং এর উচ্চতা ১৫ মিটার। বিমানটি প্রতি ঘন্টায় ৮৫৩ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে উড়তে সক্ষম।

 

সুপার গুপিঃ

এই বিমানটি মহাকাশ সংস্থা নাসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ১৯৬৫ সালে এই বিমানের উড়ান শুরু হয়। এই বিমানটি কার্গো ফ্লাইট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি লম্বাই ৪৩.৮৪ মিটার এবং এই বিমানটির উচ্চতা ১৪.৭৮ মিটার। এই বিশাল আকার বিমানটির ওজন প্রায় ৪৪ হাজার কেজি। এটি প্রতি ঘন্টায় ৪৬৩ কিলোমিটার বেগে আকাশে উড়তে পারে।

 

এয়ারবাস এ380ঃ

এ বিমানটিতে রয়েছে ১৪ টি বিশাল ইঞ্জিন যা ইউরোপিয়ান এয়ারবাস কর্তৃক নির্মিত। এটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় মানুষ বহনকারী বিমান। এই বিমানে ৫৫৫ জন মানুষ একসঙ্গে ভ্রমন করতে পারে। এই বিমানটি ৩ লক্ষ ২0 লিটার পরিমাণ জ্বালানি নিয়ে আকাশে উড়তে পারে। বিমানটি ৭৩ মিটার লম্বা এবং বিমানটির উইং এরিয়া ৭৯.৭৫ মিটার।

 

অ্যান্টানভ এন 225 মরিয়াঃ

এই বিমানটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভারি বিমান এর মধ্যে একটি।

এটি একটি কার্গো বিমান। এই বিমানটির ওজন ৭১০ টন। বিমানটির পাখা ২১০ ফিট লম্বা। সবকিছু মিলিয়ে এ বিমানটি যেমন অদ্ভুত তেমন-ই দেখতেও সুন্দর। এই বিমানটি প্রথমে রকেট বুস্টার পরিবহন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিমানটিকে অন্যান্য সাধারণ বিমানের মতোই ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

বোয়িং সি 17 গ্লোবমাস্টার 3ঃ

এটি একটি বিশাল মিলিটারি ট্রানস্পর্ট এয়ারক্রাফট। এটি আমেরিকার এয়ার ফোর্সের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি আমেরিকান সেনাদের বিভিন্ন হাতিয়ার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহন করে থাকে। এটি লম্বায় ৫৩ মিটার এবং উচ্চতা ১৬.৮ মিটার। এই বিমানটির উইংস্পিন ৫১.৭৫ মিটার। বিমানটি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার লিটার জ্বালানি নিয়ে আকাশে উড়তে পারে।

 

এয়ারবাস বেলুগাঃ

এই বিমানটি তৈরি করতে ১৮৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল। বিমানটি লম্বায় ৫৬.১৫ মিটার। এই বিমানটির উইংস্পিন ৪৪.১৫ মিটার। এই বিশাল বিমানটির ওজন ৮৬ টন। এই বিমান বিভিন্ন ভারী ভারী জিনিস বহনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

বোয়িং 747 ড্রিমলিফটারঃ

এই বিমানটির উড়ান কার্য শুরু হয় ৯ সেপ্টম্বার ২০০৬ সালে। এটা কোরিয়ান এয়ার, ব্রিটিশ এয়ার এবং আটলান্টাস এর আওতাধীন। এই বিমানটির উচ্চতা ৭০ ফিট। বিমানের পাখা ৬৪.৪ মিটার। এটা লম্বায় ৭১.৬৮ মিটার। এটার টেক অফ রান ওয়ে ২৮০৪ মিটার।

 

লকহিড সি গ্যালাক্সিঃ

        

 

এই বিমানটি সৈন্য বহনকারী বিমান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি বিমান। এই বিমানটির ওজন ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৪০০ কেজি। এই বিমানটির উইংস্পিন ৬৮ মিটার লম্বা। এই বিমানের পাখাতেও জ্বালানি ট্যাংকের সিস্টেম করা রয়েছে। এই বিমানটি লম্বায় ৭৫.৩১ মিটার এবং উচ্চতা ৮০৪ মিটার। বিমানটি টেক অফ এবং ল্যান্ডিং করার জন্য ১৬০০ মিটার রানওয়ের প্রয়োজন হয়।

 

 

 

মন্তব্য করুন