যত দিন যাচ্ছে আধুনিকতার মান ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে টেকনোলজী। আর এই উন্নতির ধারা পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও চোখে পড়ার মতো। বিগত দশক গুলোর তুলনায় বর্তমানে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব এসেছে।
এতদিন মানুষ স্বপ্নে যেগুলো দেখত, আকাশে গাড়ি উড়বে, শব্দের চেয়েও বেশি গতিবেগে ট্রেন ছুটবে, সেই স্বপ্নগুলো খুব শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি কিছু অত্যাধুনিক গাড়ির ডিজাইন করেছে এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করছে যা ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থার রুপরেখায় বদলে দেবে।
১ঃ ফ্লাইবোর্ড এয়ার
এই ফ্লাইবোর্ডটির ডিজাইন ওয়াটার ফ্লাইবোর্ডকে অনুসরণ করে বানানো হয়েছে। হতে পারে মানুষ ভবিষ্যতে বাইক বা গাড়ির পরিবর্তে এই ফ্লাইবোর্ড গুলো ব্যবহার করবে। এই মেশিনে আছে জেট ইন্জিন যা কেরোসিন তেলে চলে। ফ্লাইবোর্ডে পাইলট একটি কন্ট্রোলার নিজের হাতে ধরে রাখে। এটার ওজন মাত্র ৩ কেজি এবং এই ফ্লাইবোর্ডটি ১০০ কেজি ওজন নিয়ে হাওয়াতে উড়তে পারে। আর প্রতিঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ৬ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে।
২ঃ স্কিও
পঙ্গু মানুষরা চলাফেরার করার জন্য সবসময় সমস্যার মধ্যে পরে। তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যায় যখন তাদের সিঁড়ি বেয়ে উঠার প্রয়োজন হয়। আর এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ডেভলপাররা তৈরি করেছেন স্কিও। স্কিও একটি মর্ডান ডিজাইন হুইল চেয়ার। এতে একটি রাবার ট্রাক সিস্টেম আছে যেটা এটিকে সিড়িতে উঠতে সাহায্য করে। এটি তৈরি হয়েছে সেলফ ব্যালেন্সিং টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি জয়স্টিক এর সাহায্যে। এটি ১০ কিলোমিটার গতিবেগে একটানা ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।
৩ঃ ফ্রিফ্লাই আলটা ৮
ফ্রিফ্লাই আলটা ৮ এমন একটি ড্রোন যা সার্ফিং করতে পারে এবং ওজন যতই হোকনা কেনো জলের উপর দিয়ে যে কোন মানুষকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এই ড্রোন ৩.৫ ফুট উচু আর এটা ১০০০ ফুট উচুতে উঠতে পারে। এই ড্রোনটি প্রতিঘন্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।
৪ঃ হাইপারলুপ
বর্তমানে যে কয়টি ফিউচারিস্টিক প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা চলছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হাইপারলুপ। হাইপারলুপ পরিবহনের এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি ভূপৃষ্ঠের উপর থেকেও বিমানের চেয়ে বেশি গতিবেগে চলাচল করতে পারবেন। এর সর্বচ্চ গতি প্রতিঘন্টায় প্রায় ১২০০ কিলোমিটার। এই কনসেপ্টটা প্রথম দিয়েছিলেন স্পেসএক্স এবং তেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
৫ঃ ব্লাকফ্লাই
অনেকদিন আগে থেকেই ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ির কথা আলোচিত হচ্ছে। ব্লাকফ্লাই এমনই একটি গাড়ি। টানা ১০ বছর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ব্লাকফ্লাই ডেভলপ করা হয়েছে। ব্লাকফ্লাই তৈরি করেছে একটি কানাডিয়ান কোম্পানী ওপেনার। এই কোম্পানীতে ইনভেস্ট করেছে গুগল এর কো ফাউন্ডার লেরি পেজ। এটি প্রতিঘন্টায় ১২৯ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে।