প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেল পাকিস্তান

খেলাধুলা

পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টচে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনিং ব্যাট করতে আসেন এইডেন মার্করাম ও কুইন্টন ডি কক। ৬ ওভার ২ বলের মাথায় দুজনার ৩৪ রানের একটি ভালো পার্টনারশিপ হওয়ার পরপরই শাহিন আফ্রিদির কাছে পরাস্ত হন কুইন্টন ডি কক। তিনি ১৮ বলে ২০ রান করে পেভিলিওনে ফিরে যান। মাঠে টেম্বা বাভুমা আসার পর, এইডেন মার্করামকে ২৩ বলে ১৯ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে শর্ট ঠিল্ডারের কাছে কেচ আউট হয়ে পেভিলিওনে ফিরতে হয়। শাহিন আফ্রিদির ১ ওভারে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পতন ঘটায় দক্ষিণ আফ্রিকা অনেকটা চাপের মুখে যায়। তারপর মাঠে আসে রাসি ভ্যান ডর ডুসেন। কিন্তু এই চাপ থেকে উঠে দাড়ানোর আগেই, মাত্র ৭ ওভার ৫ বলে মুহাম্মদ হাসনাইন এর ওভারে ৪ বলে ১ রান করে পেভিলিওনে ফিরে যান টেম্বা বাভুমা। তারপর রাসি ভ্যান ডর ডুসেনের সাথে জুটি বাঁধেন হেনরিচ ক্লাসেন। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে একটু ভারসাম্য আসলেও রানের গতি খুবই কম থাকে। ১৪ ওভার ২ বলের মাথায় ফাহিম আশরাফের বলে ক্লাসেনকে ২১ বলে ১ রান করে মাঠ ছারতে হয় হেনরিচ। পরবর্তীতে ডেভিড মিলার সাথে বড় একটা পার্টনারশিপ গড়ে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যান রাসি ভ্যান ডর ডুসেন। কিন্তু ডেভিড মিলারকে ৫৫ বলে ৫০ রান করে হারিস রউফ এর বলে পরাস্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। পরবর্তীতে রাসি ভ্যান ডর ডুসেনের ১২৩ রানে দলের সর্বমোট রান হয় ২৭৩।

২য় ইনিংসে ২৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে আসেন পাকিস্তানি ২ ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান। ২ ওভার ৪ বলের মাথায় ফখর জামানকে ১২ বলে ৮ রান করে ফিরতে হয়। পরবর্তীতে বাবর আজমের ৫০ তে দল অনেকটা এগিয়ে যায়। বাবর আজমের পরপরই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পায় ইমাম উল হক। ৩১ ওভার ৪ বলের মাথায় বাবর আজম ১০৩ বলে ১০৩ রান করে তার সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন এবং তার পরের বলেই এরিচ নর্টজের বলে আউট হয়ে তাকে মাঠ ছারতে হয়। এরিচ নর্টজের পরবর্তী ওভারেই ৮০ বলে ৭০ রান করে মাঠ ছাড়েন ইমাম উল হক। ইমাম উল হকের উইকেট হারানোর পরই খুব দ্রুত উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরবর্তীতে মোহাম্মদ রেজোয়ানের ৪০ রান এবং শাদাব খানের ৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করে জয় পায় পাকিস্তান।

মন্তব্য করুন