নিউজিল্যান্ডের ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে আছে বাংলাদেশ। গত ৩০ ই মার্চের ২য় টি-টয়েন্টি হে্রে সিরিজ হাত ছাড়া হয়েছে টাইগারদের। ১৭০ রানের টার্গেটে সৌম্যের ৫০ কিছুটা আশা জোগালেও অতিরিক্ত রানের চাপে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ১৪২ এই থেমে যায় টাইগাররা। ২য় টি-টয়েন্টিতে ২৮ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
বৃষ্টির কথা ভেবেই টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বৃষ্টি আইনে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করলে লক্ষ্যটা জেনে পরিকল্পনা করার সুবিধাটাও নিতে দিলেন না ম্যাচ রেফারি। বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে ১৪৮ এর টার্গেট এমনটা জেনেই বেটিংয়ে নামে বাংলাদেশের ২ ওপেনার। হাতের নাগালেই মনে হচ্ছিল। অথচ ১.৩ ওভার খেলার পর খেলা বন্ধ রেখে জানানো হয় টার্গেটে ভুল হয়েছে। হবে ১৬ ওভারে ১৪৮ রানের পরিবর্তে ১৭০ রানের টার্গেট দেওয়া হয়।
এই ম্যাচেও কাটেনি লিটনের হতাশা অথচ ব্যার্থতা মাঝেও সৌমের সেরাটা পাওয়া গেছে। প্রথম ৬ বলে ৭ রান করার পর বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করে মাত্র ২৫ বলে ৩ ছয় আর ৫ চারে করেন ফিফটি। কিন্তু নাইম শেখের সাথে পার্টনারশিপ জমলেও কিছু সময় পরেই তাকে ফিরতে হয় পেভিলিয়নে। নিউজিল্যান্ডের প্রেসারদের গতির সামনে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্ব স্পষ্টতা পায় । শেষ দিকে প্রয়োজন ছিল পাওয়ার হিটিং কিন্তু সেটা না পাওয়ায় হারের বৃত্ত ভাংতে পারলো না টাইগাররা।
শুরুর দিকে তাসকিনের হাত ধরেই আসে নিউজিল্যান্ডের ১ম উইকেট। অ্যালিনকে দ্রুত ফেরানোর পর আসে সাইফুদ্দিনের আঘাত। নিউজিল্যান্ড পর পর ২ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায়। তারপর শরিফুলের বলে ডেভন কনওয়ে পরাস্ত হয়ে ফিরে যায় পেভিলিয়নে। ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে ১ম আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করে নেন বাহাতি এই প্রেসার। মেহেদির ডাবল স্ট্রাইকে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেই সুযোগ ধরে রাখা যায়নি। পুরো ইনিংস পিচ্ছিলি থেকে গেছে মাঠ। যার কারণে ফিল্ডারদের পোহাতে হয়েছে প্রচুর ভোগান্তি। ফিলিফসের ফিফটিতে বিপদ সামলে নিয়ে বড় স্কোরের দিকে আগাই নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেটে ১৭৩ রানে বৃষ্টিতে খেলা আটকে যায়। বৃষ্টি শেষে ওভার কমিয়ে ২য় ইনিংসের খেলা শুরু হয়। তার কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় টার্গেট নিয়ে বিভ্রান্তি। আর সবশেষে ১৪২ রানে আটকে ২৮ রানে হেরে যায় টাইগাররা।